আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠাকালে বহু বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। বেশ কয়েকবার কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। অনেক জুলুম, অন্যায়, অত্যাচার পাড়ি দিয়ে তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মানুষকে পরীক্ষা করার বিষয়ে কুরআনে পাকে উল্লেখ রয়েছে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধন-সম্পদ ও ফলের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করব। আর আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন। যখন তাদের উপর কোনো বিপদ-আপদ আসে; তখন তারা বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চিতভাবে তার দিকেই ফিরে যাব।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৬)
তবে যখনই কোনো মানুষের বিপদ-আপদ আসবে তখনই মনে করতে হবে তা নিজের অন্যায়, ভুল বা পাপের কারণেই এসে থাকে। আর এ বিপদ-আপদের পরিপ্রেক্ষিতে বান্দাকে হতে হবে আল্লাহর প্রতি বিনয়ী। চাইতে হবে ক্ষমা দয়াময় প্রভুর কাছে।
বিপদ-আপদের সময় করণীয়:
বিপদ-আপদে বিচলিত না হয়ে এটাকে আল্লাহর রহমত মনে করা।
এ বিপদ-মুসিবত নিজের পাপ ও অন্যায়ের কারণে ঘটেছে মনে করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ও বিনয়ী হওয়া।
বিপদের সময় ধৈর্য্য অবলম্বন করা। হা-হুতাশ করা থেকে বিরত থাকা।
যে কোনো বিপদ-মুসিবতে সালাতুল হাজত’ দুই রাকাত নামাজ আদায় করে নেয়া। নামাজ পড়ে বিপদ আপদ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা প্রিয়নবি (সা.)-এর সুন্নাত।
বিপদ-মুসিবতে বা কোনো জটিল সমস্যা দেখা দিলে বেশি বেশি আল্লাহর স্মরণ করা। কোনোভাবেই ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর জিকির থেকে গাফেল না হওয়া।
বিপদ ও মুসিবত যত ছোটই হোক বা যত বড়ই হোক সব সময় এই দোয়া পড়া। মুসলিম শরিফে আছে- শরীরে যদি একটি কাঁটাও বিঁধে তাহলেও এ দোয়া…
উচ্চারণ: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন; আল্লাহুম্মা আযিরনি ফি মুসিবাতি ওয়াখলুফলি খাইরাম মিনহা।
উল্লেখ্য যে, মানুষের কোন কিছু হারিয়ে গেলে ৪১ বার ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়া অত্যন্ত ফলদায়ক ও পরীক্ষিত আমল।
তাই দুনিয়ার সব ধরনের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবতে ধৈর্যের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির-আজকার ও তার সাহায্য কামনা করা উচিত। প্রিয়নবি (সা.)-এর শিখানো দোয়া পড়াও জরুরি।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উল্লেখিত নিয়মগুলো পালনের মাধ্যমে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।